উত্তরবঙ্গ–অসমের রেল যোগাযোগে বড় আপগ্রেডের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নিউ কোচবিহার–গোলকগঞ্জ–গৌরীপুর–অভয়াপুরী রুটে ডাবল লাইন প্রকল্পের চূড়ান্ত লোকেশন সার্ভে (FLS) করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিল রেল মন্ত্রক।
এই প্রকল্প চূড়ান্ত হলে নিউ কোচবিহার জংশন উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম কৌশলগত রেল হাব হিসেবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।
কী অনুমোদন মিলল?
রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
মোট রুট দৈর্ঘ্য: ১৫২.৩১ কিমি
প্রস্তাবিত ব্যয়: ₹৩৬৫.৫৪ কোটি
অনুমোদন: চূড়ান্ত সমীক্ষা (Final Location Survey)
এই সমীক্ষার মাধ্যমে রুটের ভৌগোলিক অবস্থা, ব্রিজ-টানেল, স্টেশন আপগ্রেড, লাইন ক্যাপাসিটি, জমি মূল্যায়ন ও নির্মাণ সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হবে। রিপোর্টের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে ডাবল লাইন নির্মাণের টেন্ডার ও কাজ শুরু হবে।
কেন নিউ কোচবিহার সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে?
নিউ কোচবিহার ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত রেল জংশন। ট্রেনের চাপ বাড়ায় একলাইনে সময় নষ্ট, সিগন্যালিং বিলম্ব ও ট্রেন ধরে রাখার ঘটনা বাড়ছিল। ডাবল লাইন হলে—
ট্রেন চলাচলের গতি ও সংখ্যা বাড়বে
পণ্যবাহী রেক পরিচালনা আরও দ্রুত হবে
উত্তরবঙ্গ–অসম–ত্রিপুরা–মেঘালয় অংশে সংযোগ উন্নত হবে
পর্যটন, ব্যবসা ও স্থানীয় অর্থনীতি লাভবান হবে
এটি কেবল নিউ কোচবিহার নয়, সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও নিম্ন অসমের যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর।
স্থানীয় প্রভাব কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে—
ভবিষ্যতে নিউ কোচবিহার একটি হাই-ডেনসিটি রেল করিডোরের প্রধান জংশনে পরিণত হতে পারে।
চাকরি, ব্যাবসা, পরিবহণ খাতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে পণ্য পরিবহণ সহজ হবে।
রেল সূত্রে কী জানা গেছে?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (NFR) জানিয়েছে, দ্রুত সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁরা এই ডাবল লাইন করিডোরকে “উত্তর-পূর্বের রেল উন্নয়নের ভবিষ্যৎ মেরুদণ্ড” বলেও উল্লেখ করেছেন।
সারসংক্ষেপ
নিউ কোচবিহারের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক বড় মাইলস্টোন।
রেল যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হলে উন্নয়নের দরজা খুলবে—যাত্রী, ব্যাবসায়ী, পর্যটন—সব ক্ষেত্রেই নতুন গতি আনবে এই প্রকল্প।


0 মন্তব্যসমূহ